Home      News

News

 

Share This:

 

 

 

News

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে স্টামফোর্ড ইয়েস-এর এক যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে ওয়েবিনারের আয়োজিত

২০০৯ সালের ২রা এপ্রিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করে "ইয়েস গ্রুপ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ"। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইয়েস গ্রুপ। এই বছরে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ১২ বছর পূর্তি হয় গ্রুপটির। সারা দেশে সর্বমোট ৬১ টি ইয়েস গ্রুপ রয়েছে। তবে সেগুলোর মধ্যে স্টামফোর্ড ইয়েস-এর সক্রিয়তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। নিজেদের এক যুগ পূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভিন্নধর্মী কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করে গ্রুপটি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে তারা। "স্বাধীনতার পঞ্চাশে স্টামফোর্ড ইয়েস-এর ১২: দেশ নির্মাণে তরুণদের একাল-সেকাল" শীর্ষক এই ওয়েবিনারটি গত ২৩শে সেপ্টেম্বর, সকাল ১১ টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত হয়। '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমানের দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধে তরূণদের করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। একইসাথে তারা '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার যুদ্ধে নিজেদের অর্জিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

 

উক্ত ওয়েবিনারটিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন - বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর কার্যনির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী, চট্টগ্রাম মহানগর সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম জিলানী চৌধুরী ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. ফারাহনাজ ফিরোজ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জনাব ফারহানা ফেরদৌস, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইয়েস-এর সম্মানিত উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক জনাব মোহসিনুল করিম, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইয়েস গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর জনাব হোজ্জাতুল ইসলাম ও জনাব ইয়াসমিন আরা, স্টামফোর্ড ইয়েস গ্রুপের দলনেতা, সহ দলনেতা, সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন ইয়েস ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইয়েস গ্রুপের সম্মানিত উপদেষ্টা। এই সময়ে তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ইয়েস গ্রুপের দীর্ঘ ১২ বছরের পথচলা সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। এরপর, সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন টিআইবি’র সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জনাব ফারহানা ফেরদৌস। বক্তব্যকালে তিনি তরুণদের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে টিআইবি'র ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। পরবর্তীতে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকা ও আগামীর বাংলাদেশ সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন টিআইবি'র কার্যনির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, "একমাত্র তরুণরাই এই সমাজকে, দেশকে দুর্নীতির ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করতে পারে।" অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের করণীয় সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি '৭১-এর যুদ্ধের কিছু অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলদেশ-এর উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী। তিনি স্টামফোর্ড ইয়েস গ্রুপের কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তরুণদের ভূমিকা ও আগামীর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম জিলানী চৌধুরী। তিনি মুক্তিযুদ্ধে থাকাকালে নিজের অর্জিত কিছু অভিজ্ঞতাও সকলের কাছে তুলে ধরেন। সবশেষে, উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্টামফোর্ড ইয়েস গ্রুপের বর্তমান দলনেতা জায়েদ আল আরাফ শিহাব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজ্ঞ অতিথিবৃন্দের উপদেশ, দিক-নির্দেশনা ও অভিজ্ঞতাকে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে তরুণরা দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারবে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে – এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।